কর্তৃপক্ষ বলল : তুমি যদি খাঁচার ভেতর একটা বাঘের পোষাক পরে বাঘের মত তর্জন গর্জন দিতে পারো তাহলে মাসে ৮ হাজার টাকা পাবে।
অগাত্যা বেকার ছেলেটা তাতেই রাজি! রোজ চিড়িয়াখানা খোলার আগে সে বাঘের পোষাক পরে খাঁচায় ঢুকে পড়ে। দর্শক এলে তাদেরকে তর্জন গর্জন ও আরো নানা কায়দা কুসরত দেখিয়ে ভীষণ আনন্দ দেয়... দেখতে দেখতে চিড়িয়াখানার দর্শক বেড়ে গেল। বাঘের খাঁচার সামনে বিরাট ভিড়! চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ও খুশি হয়ে বেতন বাড়িয়ে দিল। ভালোই চলছিল দিন... হঠাৎ একদিন হলো বিপত্তি! বাঘের খাঁচার পাশেই ছিল সিংহের খাঁচা। দুই খাঁচার মাঝে একটা লোহার জালের বেঁড়া। একদিন সেই বেঁড়া ধরে লাফিয়ে নেচে কুদে মজা দেখাতে গিয়ে পুরনো বেঁড়া ভেঙ্গে সে গিয়ে পড়লো সিংহের খাঁচার ভেতর। এখন কী হবে? পৈতৃক প্রাণটা বুঝি আজ সিংহের হাতেই গেল...! ভয়ে জবু থবু হয়ে খাঁচার এক কোনে বসে দোয়া দুরুদ পড়তে লাগলো বেচারা। এদিকে সিংহটা ও কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থেকে ধিরে ধিরে উঠে দাঁড়ালো। তারপর আস্তে আস্তে এগিয়ে আসতে লাগলো তার দিকে। ভয়ে তো তার প্রায় হার্ট এটাক হবার মতো! এদিকে সিংহটা এক্কেবারে কাছে চলে এসেছে। প্রাণের মায়া ছেড়ে দিয়ে ছেলেটা যখন কালেমা পড়তে শুরু করলো ঠিক তখন...
সিংহটা বলে উঠলো : ভাই,,, এতো ভয় পাবেন না। আমিও বাংলায় অনার্স...!
উপভোগ করুন এবং আমাদের সাথে সংযুক্ত থাকার !!
No comments :
Post a Comment